নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন | নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন ২০২২ | bdris.gov.bd

নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ২০২২ (bdris.gov.bd) -   আপনি যদি আপনার শিশুর বা আপনার নিজের জন্ম নিবন্ধন এখনো পর্যন্ত না করে থাকেন । তাহলে নতুন জন্ম নিবন্ধন এর আবেদন কিভাবে করবেন আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে সে বিষয়টি জেনে নিন। 

জন্ম নিবন্ধন বর্তমানে প্রায় প্রতিটি কাজে প্রয়োজন পড়ে তাই আপনার উচিত এখন পর্যন্ত জন্ম নিবন্ধন না করা থাকলে দ্রুত জন্ম নিবন্ধন করে নেওয়া ।

আপনি চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে নিজেই নিজের জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে পারেন অথবা আপনি আপনার ইউনিয়ন পরিষদ এ গিয়ে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন ফরম পূরণ করে জমা দিতে পারেন।


নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন | নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন ২০২২ | bdris.gov.bd




জন্ম নিবন্ধন নিয়ে আরো তথ্য

জন্ম নিবন্ধন আবেদনের বর্তমান অবস্থা

জন্ম নিবন্ধন সংশোধন

জন্ম নিবন্ধন বাংলা থেকে ইংরেজি করার নিয়ম

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই

জন্ম নিবন্ধন যাচাই অনলাইন চেক apps

জন্ম নিবন্ধন ফরম 

 জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করতে কি কি লাগে


নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন এর নিয়ম

প্রথমে আসুন জেনে নেই নতুন জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম গুলি কি কি -

জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন  ২০০৪ এর আইন অনুসারে শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক।


যদি কোন অসুবিধার কারণে ৪৫  দিনের ভেতর না করতে পারেন তাহলে  আমার পরামর্শ থাকবে আপনার শিশুর ৫ বছরের মধ্যে অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন করিয়ে নিবেন।


যদি আপনি জেনেশুনেও পাঁচ বছরের মধ্য জন্ম নিবন্ধন না করেন তাহলে নতুন জন্ম নিবন্ধন করার ক্ষেত্রে আপনাকে অতিরিক্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে হবে এবং ঝামেলা পোহাতে হতে পারে । তাই চেষ্টা করবেন আপনার শিশুর 5 বছরের ভিতর জন্ম নিবন্ধন করে নেওয়ার।


নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে কি কি লাগে

নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে আপনার প্রয়োজনীয় কি কি কাগজপত্র লাগবে নিচে আমি সেই বিষয়গুলো তুলে ধরছি।

0 থেকে 5 বছরের শিশুদের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন  করতে যা যা লাগবে


১. ক্লিনিক বা হাসপাতালে সার্টিফিকেট বা ছাড়পত্র ( শিশু যে ক্লিনিকে জন্মগ্রহণ করেছিল )।



২. শিশুটি যদি কোন হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করে না থাকে সে ক্ষেত্রে  তথ্য সংগ্রহকারী হিসেবে নিবন্ধক কর্তৃক নির্দিষ্ট করা কোন এনজিও কর্মীর প্রত্যয়ন পত্র।



৩. যদি সেটিও সম্ভব না হয় তাহলে  নিবন্ধকের জন্ম সংক্রান্ত কোন দলিলের সত্যায়িত অনুলিপি  যেমন শিশুর টিকা কার্ড ।



৪. পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন সনদ অথবা জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি লাগবে।



৫ বছর বা তার অধিক শিশুদের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন  করতে যা যা লাগবে


১.  এমবিবিএস ডাক্তারের প্রত্যয়ন ( বয়স প্রমাণের জন্য) ।


২. সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড এর মেম্বার অথবা কাউন্সিলরের প্রত্যয়ন ( জন্মস্থান বা স্থায়ীভাবে বসবাসের স্থান প্রমাণের জন্য ) ।


৩. উপরের কাগজপত্র গুলি যদি আপনার না থাকে তাহলে বয়স এবং জন্মস্থান প্রমাণের জন্য তথ্য সংগ্রহকারী হিসাবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষক এর প্রত্যয়ন। 



৪. এছাড়াও  আপনি বয়স ও জন্মস্থান প্রমাণের জন্য ইপিআই কার্ড বা পাসপোর্ট বা মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট অথবা কোন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের জন্ম সংক্রান্ত ছাড়পত্র  সনদের সত্যায়িত অনুলিপি। 



৫. জন্ম তারিখ ও ঠিকানা প্রমাণের জন্য আপনি জন্ম সংক্রান্ত কোন দলিল।



৬.  এনজিও কর্মীর প্রত্যয়ন ( তবে তথ্য সংগ্রহকারী হিসাবে নিবন্ধক কর্তৃক নির্দিষ্ট করা কোন  এনজিও  কর্মী  হতে হবে)।



৭. পিতামাতার জন্ম নিবন্ধন সনদ অথবা জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।


নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম

নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম কিভাবে পূরণ করবেন সে বিষয়টি প্রথমে বলে নেই। আপনি যদি চান অনলাইনের মাধ্যমে নিজেই নিজের জন্ম নিবন্ধন ফরম পূরণ করবেন। কিভাবে করবেন সে বিষয়টি আমি নিচে দিয়ে  দিব ।

আর আপনি যদি চান যে আপনি হাতে লিখে ফরম পূরণ করে সেই ফরমটি নিয়ে আপনার  ইউনিয়ন পরিষদ ভবন এ গিয়ে ফরম জমা দিবেন সেটিও করতে পারেন। এখন কথা হল হাতে লিখে জন্ম নিবন্ধন ফরম পূরণ করার জন্য প্রথমত আপনাকে ফরম সংগ্রহ করতে হবে । জন্ম নিবন্ধন ফরম আপনি অনলাইন থেকে সংগ্রহ করতে পারেন।  জন্ম নিবন্ধন ফরম এখান থেকে সংগ্রহ করুন


জন্ম নিবন্ধন ফরম সংগ্রহ করার পর আপনি নির্ভুলভাবে আপনার সঠিক তথ্য দিয়ে ফরমটি পূরণ করুন । এরপর আপনার এলাকার মেম্বার রয়েছেন তাকে দিয়ে সত্যায়িত করুন এবং প্রথম শ্রেণীর সরকারি চাকরিজীবী দিয়ে স্বাক্ষর করে নিন। এরপরে আপনার ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে ফর্ম জমা দিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে পূরন করে নিন ।

জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে আবেদন - নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন ২০২২

নতুন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন এর মাধ্যমে কিভাবে করবেন এই ভিডিওটি দেখে খুব সহজেই করে নিতে পারেন।




অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করার জন্য প্রথমত আপনার কম্পিউটার অথবা মোবাইল থেকে এই  https://bdris.gov.bd/ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।


এরপর আপনি নিচের ছবির মত লক্ষ্য করুন । জন্ম নিবন্ধন সনদ আপনার কোন ঠিকানায় অফিস থেকে নিতে চান তার জন্য  এখানে আপনি তিনটি অপশন দেখতে পাবেন জন্মস্থান, স্থায়ী ঠিকানা, বর্তমান ঠিকানা, এ তিনটি অপশন থেকে আপনি আপনার প্রয়োজন মত অপশন সিলেক্ট করে নিচের দিকে পরবর্তী এই বাটনে ক্লিক করুন

নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন



নিবন্ধন কারী ব্যাক্তির পরিচিতি সঠিকভাবে দিন।


নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন ২০২২ | bdris.gov.bd



এই ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করার পর আপনি পরবর্তী এই বাটনে ক্লিক করুন


এই পেজে আপনাকে আপনার পিতা-মাতার তথ্য দিতে হবে তথ্যর ক্ষেত্রে আপনার পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর দরকার হবে।


সঠিক তথ্য দিয়ে এরপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।


এরপরে আপনাকে যে পেজে নিয়ে আসা হবে এখানে আপনি দুটি অপশন দেখতে পাবেন প্রথম অপশন এ লেখা থাকবে আপনি কি নির্মল লিখিত কোন ঠিকানা স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করতে চান এখানে আপনি কোনোটিই নয় এই অপশনটি টিক মার্ক করে দিন।


এরপর নিচের অপশন এ আপনার যদি বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা একই হয় তাহলে  ( জন্মস্থান এর ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা একই ) এই  অপশনটিকে টিক মার্ক করে দিন । আপনার ঠিকানায় সঠিকভাবে দিয়ে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।


এর পরের পেজে আসার পর আবেদনকারী তথ্য দিতে হবে। আবেদনকারীর যদি আপনি হয়ে থাকেন তাহলে আপনার মোবাইল নাম্বার ইমেইল নাম্বার দিয়ে দিবেন।


আর আবেদনকারী যদি অন্য কেউ হয় অর্থাৎ আপনার বয়স যদি 18 বছরের নিচে থাকে তাহলে যে ব্যক্তি আবেদনকারী হিসেবে থাকবে তার জন্ম নিবন্ধন , ভোটার এবং মোবাইল ও ইমেইল নাম্বার দিতে হবে।


দেওয়ার পরে আপনি পরবর্তী বাটনে ক্লিক করবেন। পরবর্তী বাটনে ক্লিক করার পর আপনার সামনে আপনি পিছনে যত তথ্য দিয়েছেন সকল তথ্য আপনার এখানে দেখাবে।


 এরপর আপনার সকল তথ্য যদি সঠিক থাকে তাহলে আপনি সাবমিট বাটনে ক্লিক করবেন । সাবমিট বাটনে ক্লিক করলে আপনার তথ্য সাবমিট হয়ে যাবে।  এরপর আপনি যেই মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করেছেন সেই মোবাইল নাম্বারে আপনি এসএমএস পাবেন। আর এখানে আপনার আবেদনপত্রের একটি নাম্বার  দেখতে পাবেন। তবে এই নাম্বারটি আপনি আপনার সংগ্রহে রাখবেন ।


আপনার ফরমটি সঠিকভাবে সাবমিট হলে আপনি প্রিন্ট করার অপশন পাবেন। জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র প্রিন্ট করে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ/ পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন অফিসে জমা দিতে হবে। আবেদনের সাথে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে জমা দিবেন।


পরবর্তীতে আপনার আবেদনপত্র অনুমোদন পেয়েছে কিনা আপনি তা অনলাইনের মাধ্যমে যাচাই করতে পারবেন।



নতুন  অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদন সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর - 

জন্ম নিবন্ধন কি দুইবার করা যায়?

না জন্ম নিবন্ধন আপনি দুইবার করতে পারবেননা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই আপনি ধরা পড়ে যাবেন। আর যদি কোনো ভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আপনি জন্ম নিবন্ধন করেন সেক্ষেত্রে আপনি আইনি সমস্যায় পড়বেন।


জন্ম নিবন্ধন কোথায় করতে হয়?

ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন কার্যালয়ে গিয়ে জন্ম নিবন্ধন করতে পারবেন।


পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন না থাকলে কিভাবে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা যাবে?

2002 সালের আগে আপনার যদি জন্ম হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনার পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন না থাকলেও আপনি জন্ম নিবন্ধন করতে পারবেন । তবে ২০২২ সালের নতুন আপডেট অনুসারে, ২০০১ বা তার পরে জন্মগ্রহণকারী সকল শিশুর জন্ম নিবন্ধন করতে পিতা ও মাতার জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক।


নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে কি কি লাগে

নতুন জন্ম নিবন্ধন করার ক্ষেত্রে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন পড়বে আপনি এই লিংকে গিয়ে সে বিষয়টি সম্পূর্ণ জেনে নিন


জন্ম নিবন্ধন করতে কত টাকা লাগে?

জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার জন্য সরকারি নির্ধারিত কিছু ফি আছে । কোন কোন কাজের জন্যে কত ফি লাগে তার একটি তালিকা নিচে দেওয়া হল।

জন্ম বা মৃত্যুর ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিন পর্যন্ত কোন ব্যক্তির জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধন ফ্রিতে কোন টাকা লাগবে না।

মৃত্যুর বা জন্ম ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিন পর হইতে ৫ (পাঁচ) বৎসর পর্যন্ত কোন ব্যক্তির জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধন ফি ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

 ৫ বৎসর পর কোন ব্যক্তির জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধন ফি ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য আবেদন ফি ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

জন্ম তারিখ ব্যতীত নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, ঠিকানা ইত্যাদি অন্যান্য তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন ফি ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় মূল সনদ বা তথ্য সংশোধনের পর সনদের কপি  সরবরাহ ফ্রী সম্পূর্ণ ফ্রি করা হয়েছে।

বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় সনদের নকল সরবরাহ ফি ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার জন্য সরকার নির্ধারিত ফি এগুলা হলেও আমদের দেশের কিছু  অসাধু ব্যাক্তি এর চেয়ে বেশি টাকা দাবি করে থাকে। 


বিবাহিত নারীর ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধনে কি স্বামীর নাম লেখা যাবে?

যাবে না। নারীর জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে পিতা মাতার নাম লিখতে হয় এখানে স্বামীর নাম লেখার কোনো সুযোগ নেই।








Next Post Previous Post